বেনজিন চক্রের কার্বনের সাথে হাইড্রোক্সিল মূলক সরাসরি যুক্ত হয়ে যে যৌগ গঠিত হয় তাকে ফেনল বলে। সাধারণভাবে এটি কার্বলিক এসিড নামে পরিচিত। আর কার্বলিক অ্যাসিড সাপ তাড়াতে ব্যবহার করা হয়।
কোন স্থানে সাপের উপদ্রব বেশি হলে সেখানে ফেনল ব্যবহার করা হয়। বেনজিন চক্রে (-OH) হাইড্রোক্সিল গ্রুপযুক্ত সকল যৌগকে একত্রে ফেনল বলে।
ফেনল উৎপাদন
১.পরীক্ষাগারে ফেনল প্রস্তুতি :-
ডায়াজোনিয়াম লবণ কে লঘু এসিড এর উপস্থিতিতে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে ফেনল উৎপন্ন হয়। পাতন এর মাধ্যমে ফেনলকে সংগ্রহ করা হয় যা ধীরে ধীরে কঠিন পদার্থে পরিণত হয়।
২.আলকাতরা থেকে ফেনল উৎপাদন :-
কয়লাকে বায়ুর অনুপস্থিতিতে অন্তর্ধূম প্রক্রিয়ায় আলকাতরা উৎপাদন করা হয়।
আলকাতরা কে 170 থেকে 230 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আংশিক পাতন করলে যে অংশ পাতিত হয় তাকে মধ্যম তেল বলে। প্রাপ্ত মধ্যম তেলে থেকে প্রচুর পরিমাণে ফেনল থাকে। এর সঙ্গে কিছু ফেনল জাতক ও ন্যাপথলিনও থাকে। মধ্যম তেল শীতল করলে ন্যাপথলিন কেলাসিত হয়।
পরিস্রাবন দ্বারা ন্যাপথলিন কেলাস পৃথক করার পর পরিস্রুত দ্রবণকে 20 % কস্টিক সোডার দ্রবণে ঝাকানো হয়।
ফলে ফেনল ও তার জাতসমূহ দ্রবণীয় সোডিয়াম ফেনেট এ পরিণত হয় এবং জলীয় স্তরে দ্রবীভূত থাকে।
উপস্থিত অন্যান্য জৈব যৌগ সমূহ তৈল স্তর হিসেবে পৃথক হয়।
এই মিশ্রণ থেকে ফেনলকে সোডিয়াম ফেনেট রুপে পৃথক করে তাকে এসিড দ্রবণে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে ফনল পাওয়া যায়।
কালো তৈলাক্ত ফেনল স্তরকে পানি দ্বারা ধুয়ে ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড CaCl2 দ্বারা শুষ্ক করা হয়।এরপর আংশিক পাতন করলে 180 থেকে 183 ডিগ্রি উষ্ণতায় ফেনোল পাতিত হয়। একে শীতল করলে বিশুদ্ধ ফেনল পাওয়া যায়।
৩.ডাও পদ্ধতিতে ফেনোল উৎপাদন :-
অ্যারাইল ক্লোরাইড এর আদ্র বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে ফেনোল তৈরীর পদ্ধতিকে ডাও পদ্ধতি বলে। ক্লোরোবেনজিন কে 150 থেকে 200 atm চাপে এবং 300 -400 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ক্ষারীয় আর্দ্রবিশ্লেষন করলে প্রথমে সোডিয়াম ফেনেট উৎপন্ন হয় যার সাথে এসিডের বিক্রিয়া ঘটালে ফেনল উৎপন্ন হয়।
0
0
0