কোয়ান্টাম তত্ত্ব ও সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের মধ্যে একটি বিরোধ ছিল। এছাড়া আইনস্টাইন প্রকৃতি জগতের মৌলিক বলগুলোকে একটিমাত্র সূত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করার প্রাণবন্ত চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। সেখানে আশার প্রদীপ হয়ে হাজির হয়েছে পদার্থবিজ্ঞানের আধুনিক স্ট্রিং তত্ত্ব। এ তত্ত্ব কোয়ান্টাম তও্ব ও সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের মধ্যকার বিরোধ মিটিয়ে চারটি মৌলিক বল :- মহাকর্ষ,তড়িত চৌম্বক, সবল নিউক্লিয় বল ও দুর্বল নিউক্লিয় বলকে একসুতায় গাঁথার আভাস দিয়েছে। স্টিং তত্ত্বের জনক বলা হয় লিউনার্দ সাসকিন্ডকে এবং তার সহযোগী ছিলেন মিচিও কাকু।
স্ট্রিং তত্ত্ব এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে একে "সবকিছুর তত্ত্ব "( Theory of everything) বলা হয়।
মৌলিক কণা কোয়ার্ক, লেপটন ও বেসন। স্ট্রিং তত্ত্ব অনুসারে ইলেকট্রন, কোয়ার্ক বা ফোটন আসলে মৌলিক কিছুই নয় বরং এগুলো হচ্ছে অতিক্ষুদ্র একমাত্রিক তন্তু বা সুতার কোম্পন সৃষ্ট শক্তির এক একটি রুপ। এ তন্তুুর দৈর্ঘ্য 10^-33 cm. এ দৈর্ঘ্যকে প্লাঙ্কের দৈর্ঘ্য বলে। এ তন্তুু আসলে পদার্থ গঠন এর ক্ষুদ্রতম একক।
যে সমস্ত কণাকে মৌলিক কণা বলে
বিজ্ঞানে উল্লেখ করা হয়েছে, স্ট্রিং তত্ত্ব অনুসারে তারা আসলে 10^-33 cm দৈর্ঘ্যের তন্তুর বিভিন্ন মাত্রার কম্পনের ফল ছাড়া আর কিছুই নয়। কণাগুলোর ভর,চার্জ,ঘূর্ণন সবকিছুই আসলে নির্ধারিত হয় তন্তুর কম্পনের ফলে । ইলেকট্রনের ক্ষেত্রে তন্তুুটি একভাবে কাঁপে আর কোর্য়াকের ক্ষেত্রে অন্যভাবে কাঁপে। অর্থাৎ একটি মাত্র তন্তুু বিভিন্ন ভাবে স্পন্দিত হয়ে বস্তুুকনার নির্দিষ্ট ভর, নির্দিষ্ট চার্জ ও নির্দিষ্ট ঘূর্নন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটাচ্ছে। আর এই বৈশিষ্ট্যগুলোই এক কনাকে অন্য কনার থেকে আলাদা করে দিচ্ছে।
0
0
0