লুইস এসিড - ক্ষারক (Lewis theory)

Cyral Carbon
0


১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রনস্টেড লাউরি প্রোটন দান - গ্রহণ ভিত্তিক এসিড ও ক্ষারের সংজ্ঞা দেন। একই বছর আমেরিকার রসায়নবিদ জিয়ানলুইজি ইলেকট্রন জোড় দান - গ্রহণ ভিত্তিক সর্বশেষ এসিড ক্ষারের সংজ্ঞাটি দেন।

লুইস এসিড হল এমন একটি যৌগ বা আয়ন ইলেকট্রন জোর  গ্রহণ করে।

লুইস ক্ষারক হলো এমন একটি যৌগ বা আয়ন যা একটি ইলেকট্রন জোড় দান করে। 

তাই ব্রনস্টেড মতবাদ মতে  যেটি ক্ষারক   হয়, লুইস মতেও সেটি ক্ষারক হয়।
অর্থাৎ লুইস প্রদত্ত ক্ষারকের নতুন সংজ্ঞা মতে        ক্ষারকের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটেনি। কিন্তু লুইস এসিড এর নতুন সংজ্ঞায় এসিডের সংখ্যায় অনেক বৃদ্ধি ঘটেছে। যেমন:

 কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, সালফার ট্রাই অক্সাইড, অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড, ফেরিক ক্লোরাইড, কপার আয়ন  ইত্যাদিতে হাইড্রোজেন পরমাণুর না থাকা সত্ত্বেও এরা লুইস এসিড কারণ এরা বিক্রিয়ায় ইলেকট্রন গ্রহণ করে। কিন্তু ব্রনস্টেড - লাউরি মতবাদে ওই সব যৌগ বা আয়ন এসিড নয়। তাই বলা হয়,

সব ব্রনস্টেড লাউরি এসিড হলো  লুইস এসিড কিন্তু সব লুইস এসিড ব্রনস্টেড - লাউরি এসিড নয়।

0
0

Post a Comment

0 Comments
Post a Comment (0)